ইইই (EEE)
ইলেকট্রিক্যাল
এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কে সংক্ষেপে ইইই বলা হয়।
ডেফিনেশন বা সঙ্গাঃ
এখানে ইলেকট্রিক্যাল
এবং ইলেকট্রনিক্স দুইটি বিষয় বা বিজ্ঞান রয়েছে। এদের আলাদা ভাবে সঙ্গায়িত করা যায়।
যেমনঃ ১। ইলেকট্রিক্যাল এবং ২। ইলেকট্রনিক্স
ইলেকট্রিক্যালঃ
যে কলা বা কৌশলে
ইলেকট্রিসিটি প্রবাহের উৎস, সরবারহ এবং বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল বর্তনী নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করে তাকে, ইলেকট্রিক্যাল বলে।
ইলেকট্রনিক্সঃ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির
যেই শাখায় ভ্যাকুয়াম, গ্যাস বা সেমিকন্ডাক্টরের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহের ফলে সৃষ্ট
প্রবাহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় তাকে, ইলেকট্রনিক্স বলে।
ইতিহাস
বর্তমান বিশ্বে
আমরা বিদ্যুৎ ছাড়া কোনো কিছুই চিন্তা করতে পারি না। আমাদের জিবনের প্রতিটি কাজে বিদ্যুতের
ব্যাপক ব্যাবহার রয়েছে।
বিদ্যুৎ এক
প্রকার শক্তি, যা এক শক্তি হতে অন্য শক্তিতে রূপান্তর করা যায়। বিদ্যুৎকে চোখে দেখা
যায় না বলে অদৃশ্য শক্তি হিসেবে ধরা হয়।
আর এই বিদ্যুৎ
শক্তি কোনো একজন ব্যক্তির দ্বারা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। এর পিছনে অনেক মহান মহান
বিজ্ঞানীদের অবধান অপরিসীম।
বিদ্যুতের উৎপত্তি গ্রীক শব্দ ‘Electron’ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। ইলেকট্রন শব্দের অর্থ, সোলেমানী পাথর বা এম্বার।
![]() |
Thales |
৬০০ সালে গ্রীক দার্শনিক মি. থেলস লক্ষ্য করেন যে, এম্বারকে রেশমি কাপড় দ্বারা ঘর্ষণ করলে এর মধ্যে একটি অদৃশ্য শক্তির উদ্ভব হয় এবং এম্বার ছোট ছোট কাগজের টুকরোগুলোকে আকর্ষণ করে। আর এই অদৃশ্য শক্তিই হলো ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ।
![]() |
William Gilbert |
![]() |
Thomas Browne |
![]() |
Otto Von Guericke |
তিনি বিশ্বাস
করতেন বজ্রপাত হলো বিদ্যুৎ প্রবাহের একটি রুপ, এবং তা প্রমানিত 
Robert Boyle
করতে ১৭৫২ সালের
জুন মাসে বজ্রপাতের সময় তিনি একটি ঘুরি উড়িয়ে তা পরিক্ষা করেন এবং ব্জ্রপাত আকর্ষণ
করানোর জন্য ঘুরির সুতার সাথে একটি চাবি আটকে দেন।

Robert Boyle
![]() |
Stephan Gray |
বজ্রপাতের একতি ছোট কণার স্পর্শে তিনি মাটিতে পরে যান, সৌভাগ্যবসত তার কোনো ক্ষতি হয় নি এবং তিনি তার ধারণাটিকে সত্য প্রমানিত করতে সক্ষম হন।
ফ্রেঙ্কলিনের কাজের এই সুত্র ধরেই অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বিদ্যুৎ সম্পর্কে আরো ধারণা
Benjamin Franklin Luigi Galleani![]() |
C F de Cisternay du Fay |
যা পূর্বে ব্যবহ্রৃত ইলেকট্রোস্টেটিক মেশিনগুলোর তুলনায় বিদ্যুৎ শক্তির আরো নির্ভরযোগ্য উৎস সরবারাহ করেছিলো।
যার চলমান এবং বাস্তব উপায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমস্যা সমাধান করেছিলো।
![]() |
Alessandro Volta |
এছাড়াও ১৮২৭ সালে জর্জ ওহম গাণিতিক ভাবে বৈদ্যুতিক বর্তনী বিশ্লেষণ করেছিলেন, এবং জেমস ক্লার্ক মেক্সোয়েল ১৮৬৮ সালে বিদ্যুৎ, চৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং আলোর পারস্পারিক যোগসূত্রের ব্যখ্যা করেন।
![]() |
Hans Christian |
এর পর থেকেই বিদ্যুৎকে বিভিন্ন প্রযুক্তির কাজে ব্যাবহার শুরু হয়ে যায়।
এবং বিদ্যুতকে বানিজ্যিক করনের উদ্দেশ্যে বড় বড় জেনারেটর তৈরি করা শুরু হয়।
![]() |
Michael Faraday |
![]() |
Georg Ohm |
যার ফলে বৈদ্যুতিক বাল্ব উদ্ভাবক থমাস এডিশন এবং জসেফ সুয়ান এরা দুজনি ১৮৭৯ সালে বৈদ্যুতিক বাল্ব উদ্ভাবন করেন।
শুরুর দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি শুধুমাত্র ডিসি কারেন্ট উৎপাদন সম্ভব হতো।
![]() |
James Clerk Maxwell |
![]() |
Thomas Edison |
তবে ডিসি পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার সময় কিছু সমস্যা ছিলো। যেমন,
বহুদূর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেত না, একটি নির্দিষ্ট সীমার বাইরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ভোল্টেজ ড্রপের মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতো এবং এটি ব্যয় সাপেক্ষও ছিলো।
পরবর্তিকালে মহান আবিষ্কারক নিকেলা টেসলার অবধানে বিদ্যুৎ পরিবহন ব্যাবস্তার এক অভাবনীয় পরিবরতন ঘটে ।
তিনি ১৮৮৭ সালে এসি মটর তৈরি করে উন্নত মানের এসি বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়। আর এই এসি বিদ্যুৎ নিরধিদায় বহুদূর পর্যন্ত সরবরাহ করা যায়।
সেইদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমরা সেই এসি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছি।
![]() |
Nikola Teslaসমাপ্ত |
0 Comments